ইন্টারভিউ বোর্ডের রুমের সামনে বসে আছে মৌ। প্রচন্ড টেনশন হচ্ছে। এই নিয়ে চতুর্থ ইন্টারভিউ। আগের তিনটা ইন্টারভিউ দিয়েও সুযোগ পায়নি। আজকেও যদি না হয়, তাহলে অনেকটা বিপদে পরে যাবে সে। টেনশনে ঘামছে মৌ। জীবনে কখনো এমন পরিস্থিতিতে পরবে, সেটা কল্পনাও করেনি। কোটিপতি বাবার আদরের মেয়ে, আজ চাকরির জন্য অন্যের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছে! যে শহরে তার বাবার এমন দশটা অফিস আছে, সেই শহরের অলিগলিতে একটা চাকরির আশায় ছুটছে মৌ! জীবনের মানচিত্রটা হঠাৎ করেই বদলে গেলো মেয়েটার! তবে এখন আর কারো প্রতি অভিযোগ নেই। বাস্তবতার কঠিন যাতাকলে পরে নিজের ভুলগুলো ধীরে ধীরে বুঝতে পারছে সে। এখন আর আভিজাত্য, বিলাসী জীবনের প্রতি পিছুটান নেই। এখন শুধু এক টুকরো শান্তির খোঁজে বাঁচতে চায় সে। কারণ তার শরীরে আরেকজনের অস্তিত্ব অনুভব করছে সে। যাকে পৃথিবীতে আনতে হবে। তার একমাত্র সম্পদ, তার সমস্ত ভুল শুধরে দিয়ে তাকে নতুন রূপে বাঁচার প্রেরণা জোগানোর মত একজন! তার অনাগত সন্তান!
-কিরে মৌ? তুই এখানে??
আচমকা ডাকে চমকে উঠলো মৌ! এ কি! এ যে সামিয়া! তার কলেজ জীবনের বান্ধবী!
-এই মৌ! তুই এখানে? কি করছিস??
আমি! আমি মানে! ইয়ে! আমি...
-কি আমি আমি শুরু করেছিস??
না মানে! একটা ইন্টারভিউ দিতে এসেছিলাম।
-ইন্টারভিউ? কিসের??
চাকরির।